শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ সদস্যসহ ২ জনকে হত্যার প্রতিবাদে ২০ মে জেলায় অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক রাঙ্গামাটির লংগদুতে সন্তু গ্রুপ কর্তৃক ইউপিডিএফ সদস্যসহ ২ জনকে গুলি করে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ রাঙ্গামাটিতে ব্রাশ ফায়ারে ইউপিডিএফের সদস্যসহ দুইজন নিহত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদ ৯৬,০০০ আবেদন ২৪,০০০ রিজার্ভ নিয়ে তিন হিসাব, চাপ বাড়ছে বিরোধী রাজনীতিতে নতুন মেরূকরণ! এক মঞ্চে আসছে বিএনপি-জামায়াত পাহাড়ে অস্ত্রধারীদের গোপন আস্তানা,দেড় বছরে ৮০ খুন গ্রেফতার ১১০ * অপরাধীদের শনাক্ত করতে চলছে অনুসন্ধান মেয়াদোত্তীর্ণ সিন্ডিকেট সদস্য দিয়ে চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশে ১৭৩ কিশোর গ্যাং ইসরায়েলে ৭৫টি রকেট হামলা করেছে হিজবুল্লাহ

চট্টগ্রামে কোচিং সেন্টারে ধর্ষিত ছাত্রীর মৃত্যু

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২০৬ দেখা হয়েছে

চট্টগ্রাম:- চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ের একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকের ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল এক ছাত্রী। এই বিষয়টি পরিবারের লোকজন জেনে ফেলায় লজ্জায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় মেয়েটি। অবশেষে হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন মেয়েটি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হামিদ মোস্তফা জিসান কারাগারে আছেন।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ওই ছাত্রী মারা যায়। ধর্ষক কোচিং শিক্ষক হামিদ মোস্তফা জিসান (২১) কক্সবাজারের মহেশখালীর পশ্চিম পাড়ার বাবুল মিয়ার পুত্র। তিনি ইসলামী ছাত্রসেনা নামে একটি তরীকত ভিত্তিক সংগঠনের মহেশখালীর কুতুবজোন ইউনিয়ন সভাপতি। জানা যায়, কয়েক দফায় শারীরিক সম্পর্কের ফলে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এতে ভয়ে গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি ঘুমের ওষুধ খায় সে। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। একই দিন মেয়েটির বাবা চান্দগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

মামলায় শিক্ষক জিসানকে আসামি করা হয়। মামলার একদিনের মাথায় গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। এরপর একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ছাত্রীর বাবার করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই শিক্ষার্থী কয়েক মাস ধরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর রোডের শিক্ষাশালা কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ে আসছে। এই সুযোগে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও মামলার আসামি জিসান তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত বছরের ১৭ই ডিসেম্বর কোচিং সেন্টারের ভেতরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় আপত্তিকর অবস্থায় ছবিও ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সঙ্গে কয়েক দফায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থবোধ করলে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান। এই বিষয়ে চান্দগাঁও থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, ধর্ষণের ফলে এই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যরা জেনে যায়। একপর্যায়ে মেয়েটি ভয় ও লজ্জায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলে। এরপর তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর রোববার তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়েছিল।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions